May 18, 2024, 8:43 pm

তথ্য ও সংবাদ শিরোনামঃ
মেদ কমাতে পাতিলেবুর উপকারিতা। আমি হাওয়া ভবনের মতো কোনো ‘খাওয়া ভবন’ করিনি, যা ব্যবসার জন্য অসুবিধা তৈরি করবে। মুন্সিগঞ্জের টংগিবাড়ী তে পুকুর থেকে মিললো কষ্টি পাথরের মূর্তি ভালুকায় কারখানা শ্রমিকের রহস্যজনক মৃত্যু বিমানের ১৬ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেছে দু দুদক। জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অধিকার আদায় মঞ্চের আত্মপ্রকাশ ও ফারাক্কা লংমার্চ পালিত। কেশবপুর থানার ওসি ও উপজেলা চেয়ারম্যান সহ তিন জনের নামে চাঁদাবাজির মামলা। বাঙালি যাদের মনে রাখেনি, ঐতিহাসিক মহেঞ্জোদারোর আবিষ্কার কর্তা রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রয়াণ দিবস ৩০মে অনলাইনে আলোচিত তনির ভয়ংকর প্রতারণা, সানভীস বাই তনি’র শোরুম সিলগালা। ভালুকায় নবনির্মিত ৩টি রাস্তার উদ্ধোধন ফেসবুক রিলস থেকে আয় করবেন যেভাবে। যশোরের শার্শায় চাচাকে হত্যার দায়ে ১১ বছর পর ভাতিজার মৃত্যুদণ্ড। ভালুকায় কৃষকদের মাঝে কৃষি উপকরণ বিতরণ চোখ বলে দিবে শরীরে আছে কতশত রোগ, জানা যাবে স্বাস্থ্যের অবস্থা! আগামী বাজেটে জলবায়ুর উপর প্রাধান্য দেওয়া জরুরি – আতিউর রহমান বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ভারতগামী যাত্রীসুবিধা ফিঃ অনলাইনে পরিশোধ করতে হবে। দেশ সেরা যশোর শিক্ষা বোর্ড এস এস সিতে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬৩ তম জন্মবার্ষিকীতে কবি বৈঠক ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত। ভালুকায় আসাদুল হিমেল ও নাসিমার অত্যাচারে অতিষ্ঠ এলাকাবাসীর মানববন্ধন। ভালুকায় ডাকাতি প্রস্তুতিকালে ৩ ডাকাত আটক। ১৬৩ তম জন্মবার্ষিকীতে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রতি “প্রগতি”র শ্রদ্ধাঞ্জলি। ” হৃদয় মাঝে রবি” ২৫ এ বৈশাখ এর অনুষ্ঠান পঞ্চ ইউনিয়নের অসাংগঠনিক কার্যক্রম নিয়ে মুলাদীতে সমালোচনার ঝড়। যশোরের মন্দিরের স্বর্ণঅলংকারসহ প্রায় ২০ লাখ টাকার মালামাল চুরি। টংগিবাড়ী তে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষে প্রিজাইডিং অফিসার দের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত। ডিএসইসির নবনির্বাচিত কমিটির দায়িত্ব গ্রহণ। ভালুকায় উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থীদের মনোনয়ন পত্র দাখিল। কুতুবদিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিজয়ী হলেন যারা। রেলওয়ের বর্ধিত ভাড়া প্রত্যাহার ও ঔষধের দাম কমানোর দাবিতে বাংলাদেশ সিভিল রাইটস্ সোসাইটির নাগরিক বিক্ষোভ। নড়িয়ায় নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতা, ইউপি চেয়ারম্যান সহ আহত-৩ প্রথম ধাপে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে নড়িয়া’য় নির্বাচিতো হলেন যারা।

মুক্তিযুদ্ধের বিজয়।মোঃ লোকমান খান

মুক্তিযুদ্ধের বিজয়।মোঃ লোকমান খান

বাংলাদেশের ৯ মাসের স্বাধীনতার যুদ্ধে আমরা বিজয় লাভ করেছি। মহান বিজয় দিবসের তাৎপর্য বাংলাদেশকে পৃথিবীর বুকে মহান করে তুলেছে। পৃথিবীর সব মানুষ দেখেছে পৃথিবীর সেরা পাক সেনাবাহিনীকে কিভাবে পর্যুদস্ত করে বাংলাদেশের স্বাধীনতাকামী মুক্তিযোদ্ধারা বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে কিভাবে ছিনিয়ে এনেছে। বাংলাদেশের বিজয় দিবসের ৫২ বৎসর পুর্তি হবে এবৎসর। আমরা ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর দেশকে শত্রু মুক্ত করে বিজয় এনে দেশকে স্বাধীন দেশের কাতারে স্থান করে দিয়েছি। পৃথিবীর বুকে স্বাধীন বাংলাদেশের লাল সবুজের পতাকা পত পত করে উড়লো। দেশ স্বাধীন হলো। তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের ৭ কোটি বাঙ্গালী বিজয় দিবসে মেতে উঠেছে। তারপরেও মানুষ ভুলে যায়নি ৩০ লাখ শহীদের রক্তের কথা এবং ২ লাখ মা-বোনের ইজ্জতের কথা। যারা আপনজনদের হারিয়েছে, তারা স্বাধীনতার আনন্দের মুহূর্তে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েছে। আমরা দেখেছি স্বাধীনতার কষ্টকে। এ স্বাধীনতার জন্য এদেশের লক্ষ লক্ষ শিক্ষিত যুবক, ছাত্র, অর্ধ শিক্ষিত যুবক, মুর্খ মানুষ, কৃষক, শ্রমিক, জনতা মুক্তিযুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়েছে। দীর্ঘ ৯ মাসের সশস্ত্র সংগ্রামে বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধারা পাক বাহিনীকে পরাজয়ের মাধ্যমে ১৬ই ডিসেম্বর বিজয় ছিনিয়ে এনেছে। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ এমনি এমনি শুরু হয়নি। তৎকালীন পাকিস্তান সরকার আমাদের পূর্ব পাকিস্তানের উন্নয়নে বিরাট বৈষম্য করতে থাকায় জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ৬ দফা দাবী পেশ করেন। ৬ দফা দাবী তখনকার পূর্ব পাকিস্তানের নিকট প্রানের দাবী হিসাবে গন্য হওয়ায় পূর্ব পাকিস্তানের জনগনের নিকট গ্রহনযোগ্য একটি দাবী হিসাবে জনপ্রিয় হয়ে উঠে। পূর্ব পাকিস্তানের সকল জনগন এই দাবীর প্রতি সমর্থন জানাইয়া ঐক্যবদ্ধ হতে থাকে। পাকিস্তান সরকার বুঝতে পারল যে, ৬ দফা দাবীকে কেন্দ্র করে পাকিস্তানের ভাঙ্গন শুরু হবে। সেজন্য পাকিস্তান সরকার ১৯৬৯ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বিরুদ্ধে শুরু করেন আগরতলা ষড়যন্ত্রের মামলা এবং বঙ্গবন্ধুকে গ্রেফতার করেন। পূর্ব পাকিস্তানের জনগনের তীব্র আন্দোলনের মুখে পাকিস্তান সরকার আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা প্রত্যাহার করে নিতে বাধ্য হন এবং বঙ্গবন্ধুকে মুক্তি প্রদান করেন। পূর্ব পাকিস্তানের জাগ্রত জনতার ছাপের মুখে সমগ্র পাকিস্তানে নির্বাচন ঘোষনা করতে হয়। ১৯৭০ সনের জাতীয় পরিষদের নির্বাচনে “বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ” ১৬৭ টি আসনে জয়ী হয়ে নিরংকুশ বিজয় লাভ করে। পাকিস্তান মুসলিম লীগ ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা মাত্র ৩ টি আসন পায়। পূর্ব পাকিস্তানের নির্বাচনের ফলাফল দেখে পাক জান্তার মাথা খারাপ হয়ে যায়। পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান জাতীয় পরিষদের অধিবেশন আহবান না করে ঘুরপাক খাইতে শুরু করে। পূর্ব পাকিস্তানের বাঙ্গালী জনগন নাছোড় বান্দা। তারা বঙ্গবন্ধুর আহবানে অসহযোগ আন্দোলন করতে থাকে। পূর্ব পাকিস্তান সরকারের আর কোন কর্তৃত্বই রহিলো না। জনগন ফুসতে থাকে। সারা পূর্ব পাকিস্তানে মিছিল আর মিছিল। এমতাবস্থায় বঙ্গবন্ধু ৭ই মার্চ রেসকোর্স ময়দানের সভায় ঘোষনা করলেন- এবারের সংগ্রাম “স্বাধীনতার সংগ্রাম”, এবারের সংগ্রাম “মুক্তির সংগ্রাম”। পাকিস্তানী জান্তা বুঝতে পারল যে, পাকিস্তানের কর্তৃত্ব ও নের্তৃত্ব শেষ হয়ে গেছে। তাই পাক জান্তার প্রেসিডেন্ট জেনারেল ইয়হিয়া খান ও পাকিস্তান পিপলস পার্টির নেতা জুলফিকার আলী ভুট্টো সহ বিশাল টিম এসে বঙ্গবন্ধুকে বুঝানের চেষ্টা করলেন এবং বেশ কিছু সভাও করলেন। এরই ফাঁকে পশ্চিম পাকিস্তান হতে মিলিটারী, প্যারা মিলিটারী, পুলিশ সহ হাজার হাজার সৈন্য পূর্ব পাকিস্তানে জড়ো করতে শুরু করলেন। বঙ্গবন্ধু শর্ত একটিই- তাহলো সেনাবাহিনী ব্যারাকে ফিরিয়ে নিতে হবে এবং জাতীয় সংসদের অধিবেশন আহবান করতে হবে। পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান জাতীয় সংসদের অধিবেশনও আহবান করলেন না। অপরদিকে সেনাবাহিনীও রাস্তায় টহল দিতে থাকল। ২৫শে মার্চ পাক প্রেসিডেন্ট জেনারেল ইয়াহিয়া খান সহ সামরিক বহর এবং ভুট্টো সহ তার বহরও গোপনে ঢাকা ত্যাগ করে চলে গেলে রাত ১২ টায় পাক বাহিনী ঢাকাকে ম্যাচাকার করার মিশন শুরু করল। পাক সেনাবাহিনী প্রথমেই পিলখানা, ইপিআর ব্যারাক, রাজারবাগ পুলিশ লাইনস, ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়, রোকেয়া হল, মহসিন হল, ইকবাল হল সহ সকল ছাত্রাবাসে গুলিবর্ষন শুরু করলো এবং বিভিন্ন স্থানে আগুন ধরায়ে দিতে শুরু করলো। ২৫শে মার্চ রাতে হাজার হাজার মানুষকে হত্যা করল। সেনাবাহিনীর বাঙ্গালী সেনারা বিদ্রোহ করলো, ইপিআর বিদ্রোহ করলো, পুলিশ বিদ্রোহ করলো। মানুষ যে যেদিক পারল প্রান নিয়ে ঢাকা ছাড়তে শুরু করল। পাক সেনাবাহিনী পর্যায়ক্রমে চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা, নারায়নগঞ্জ সহ সকল শহরে হামলা শুরু করল। এর প্রতিবাদে পূর্ব পাকিস্তানের মুক্তিকামী মানুষ বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষনের প্রেক্ষিতে যার যা অস্ত্র ছিলো অর্থাৎ লাঠি, বল্লম, টেটা নিয়ে পাক বাহিনীকে প্রতিরোধে নেমে পড়ল। শুরু হলো মুক্তিযুদ্ধ। পাক বাহিনীর আগুন, মেশিনগান, বোমা বর্ষনে সইতে না পেরে ১ কোটির উপর মানুষ শরনার্থী হয়ে ভারত চলে গেলো। এদেশের কৃষক, শ্রমিক, জনতা, ছাত্রদেরকে ভারত কিছু সামান্য ট্রেনিং দিয়ে পূর্ব পাকিস্তানে পাঠানো শুরু করলো। সেনাবাহিনীর লোকেরা ট্রেনিং দিয়ে মুক্তিযোদ্ধা তৈরী করা শুরু করে দিলো। দেশের ভিতরে লাখো লাখো মানুষ সামান্য সামান্য ট্রেনিং নিয়েও পাক বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলল। শুরু হলো পাক বাহিনী ও মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে তুমুল যুদ্ধ। পাক বাহিনী এদেশের মুক্তিকামী মানুষকে দমানোর কৌশল হিসাবে এদেশের মৌলবাদে বিশ^াসী কিছু কিছু মাদ্রাসা ছাত্র, জামাতে ইসলামীর অনুসারী, মুসলিম লীগার সহ স্বাধীনতা বিরোধীদের নিয়ে গড়ে তুললো “রাজাকার বাহিনী”। পাক বাহিনী আর রাজাকার বাহিনী মিলে পূর্ব পাকিস্তানের গ্রামকে গ্রাম পুড়িয়ে নিশ্চিন্ন করতে লাগল এবং হাজার হাজার নিরীহ বাঙ্গালীকে হত্যা শুরু করলো। এদেশের মুক্তি পাগল মানুষ সামান্য থ্রি নট থ্রি রাইফেল, সেলফ লোডিং রাইফেল, গ্রেনেড নিয়ে পাকিস্তানীদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলল। গেরিলা যুদ্ধে পাক বাহিনীকে নাকাল করে তুললো। সারা পূর্ব পাকিস্তানে দাউ দাউ করে আগুন জ¦লে উঠল। মুক্তিবাহিনী ছেলেরাও নাছোড় বান্দা। নিজের জীবন উৎসর্গ করে দিতে শুরু করলো। বাঙ্গালী সেনা সদস্যরা, পুলিশ, ইপিআর মিলে গেরিলা আক্রমন শুরু করলো। শুরু হলো সম্মুখ যুদ্ধ। আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলেও পূর্ব পাকিস্তানী জনগনের পক্ষে জনমত শুরু হলো। ভারত তার সেনাবাহিনীকে মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে একত্রে মিলে পাক বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করার অনুমতি দিলে মিত্র বাহিনীর আক্রমনে পাক বাহিনী পর্যুদস্ত হতে শুরু করল। বিভিন্ন রনাঙ্গনে পাক বাহিনী আত্মসমর্পন শুরু করল। যুদ্ধের ভয়াবহতা এবং আন্তর্জাতিক সমর্থনের কারনে অবশেষে ১৬ই ডিসেম্বর ১৯৭১ এ আত্মসমর্পন করতে বাধ্য হয়। মুক্তিযুদ্ধে এদেশের আবাল-বৃদ্ধ-জনতার আক্রমনে টিকতে না পেরে পাক বাহিনীর আত্মসমর্পন ছাড়া কোন গত্যন্তর ছিলনা। ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে পূর্ব পাকিস্তানের সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এ.এ.কে. নিয়াজী, ভারতের পূবাঞ্চলীয় কমান্ডের কমান্ডার জেনারেল জগজিৎ সিং অরোরা এবং পূর্ব পাকিস্তানের বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার ভাইস মার্শাল এ কে এম আমিনুল ইসলাম এর যৌথ কমান্ডের নিকট আত্মসমর্পন করেন। বাংলাদেশ স্বাধীন হলো। আজ সেই ধ্বংশ স্তুপের উপর দাঁড়িয়ে আমরা স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশে বসবাস করছি। বাংলাদেশের পতাকা বিশে^র সকল দেশে পতপত করে উড়ছে। বাংলাদেশ এখন উন্নয়নশীল দেশ হিসাবে বিশে^ মাথা উচু করে দাঁড়িয়ে আছে। বাংলাদেশ এখন বিশে^র কাছে উন্নয়নের মডেল। বাংলাদেশের পদ্মা সেতু, বঙ্গবন্ধু টানেল, মেট্রোরেল সহ অসংখ্য ফ্লাইওভার, সেতু ও রোড এখন উন্নয়নশীল রাষ্ট্রের মতো। এদেশের জনগন উন্নয়নের দিকে এগিয়ে চলছে। এই উন্নয়নশীল বাংলাদেশের রুপকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা আপা।

লেখক- কলাম লেখক ও রাজনীতি বিশ্লেষক।

আমাদের প্রকাশিত তথ্য ও সংবাদ আপনার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করুন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




All Rights Reserved: Duronto Sotter Sondhane (Dusos)

Design by Raytahost.com